প্রশিক্ষণ কর্মসূচী

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি। এখানে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। নিয়মিত প্রশিক্ষণ হচ্ছে-নৃত্য, সংগীত, বাদ্যযন্ত্র (তবলা) ও নাটক ।  নিয়মিত প্রশিক্ষণটি সিটিজেন চার্টার/রুটিন অনুযায়ী এবং অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক বৃন্দের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে। এটি ছয় মাসের জন্য প্রশিক্ষণার্থী/ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। প্রত্যেক প্রশিক্ষণের জন্য আলাদা আলাদা আবেদন ফরম অফিস থেকে অফিস চলাকানীন সময়ে সংগ্রহ করা যাবে অথবা (www.knsikhagrachari.org) এই ওয়েবসাইট হতে ডাউনলোন করা যাবে।  নিয়মিত প্রশিক্ষণে ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিম্নরূপ:

  • ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির জন্য আবেদন ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে,
  • ২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি যথাস্থানে লাগাতে হবে,
  • জন্মনিবন্ধন/জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ১কপি,
  • ভর্তি ফি এককালীন ২৫০/-টাকা জমা দিতে হবে,

বিশেষ প্রশিক্ষণটি সাধারণত একটি নির্দ্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে । সাধারণত এটি ১৫দিন বা ২১ দিন অথবা একটি নির্দ্দিষ্ট সময়ে হয়ে থাকে। বিশেষ প্রশিক্ষণের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল মাতৃভাষা প্রশিক্ষণটি (চাকমা ভাষা, মারমা ভাষা ও ককবরক ভাষা)। মাতৃভাষা প্রশিক্ষণটি হাতে-কলমে অভিজ্ঞ শিক্ষকের বৃন্দের মাধ্যমে  হয়ে থাকে। এছাড়া উচ্চতর নৃত্য, সংগীত, বাদ্যযন্ত্র (তবলা) এবং নাট্য (নাটক) প্রশিক্ষণও রয়েছে। বিশেষ প্রশিক্ষণটিতে প্রশিক্ষণা্র্থী/ছাত্র-ছাত্র ভর্তি হতে কোন ভর্তি ফি নেওয়া হয় না।  তবে শর্ত যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানে এর আগে যারা নিয়মিত প্রশিক্ষণ (নৃত্য, সংগীত, বাদ্যযন্ত্র-তবলা, নাটক) নিয়েছেন, তাদেরকে আগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিশেষ প্রশিক্ষণে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপ্রত্রাদি নিম্নরূপ:

  • ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির জন্য আবেদন ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে,
  • ২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি যথাস্থানে লাগাতে হবে,
  • জন্মনিবন্ধন/জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ১কপি,

উল্লেখ্য যে, নিয়মিত ও বিশেষ প্রশিক্ষণটি যে সকল ছাত্র-ছাত্রী সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন, তাদেরকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি হতে সনদপত্র দেওয়া হবে। ভর্তির জন্য আজই যোগাযোগ করুন।

এছাড়াও বিশেষ প্রশিক্ষনের মধ্যে বাদ্যযন্ত্র(গীটার), কম্পিউটার প্রশিক্ষণ রয়েছে।

প্রশিক্ষণার্থী/ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে প্রশিক্ষণ প্রতিযোগীতামূলক মনোভাব সৃষ্টির ব্যাপারে আমার সদা সচেষ্ট। এজন্য আমরা  প্রতি বছর সংগীত (চাকমা সংগীত, মারমা সংগীত, ত্রিপুরা সংগীত), বাদ্যযন্ত্র (তবলা), নৃত্য  প্রতিযোগীতার আয়োজন করে থাকি। এছাড়াও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা এবং বৈসাবী (বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু) উৎসবের সময় ঐতিহ্য বাহী বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, পিঠা এবং বেইন বুনন প্রতিযোগীতা হয়ে থাকে।